নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৫ সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসময় পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের কচুগাড়ী ঈদগাঁহে এই ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

হামলায় আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৫ সমর্থক হলেন, জোনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম হোসেন,উপজেলার চামটা সিটগাড়ী গ্রামের জব্বার ফকিরের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩২), বাহাদুর আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৩৪), বর্ণী গ্রামের মৃত উকিল শেখের ছেলে রুবেল হোসেন (৩০) ও চামটা সরকার পাড়া গ্রামে মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে শামিম হোসেন (৩৬)। তারা পাঁচ জনই নাটোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের ট্রাক প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক তোজাম বলেন, আমরা ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের পক্ষে কাজ করে করে যাচ্ছি। আমিসহ কয়েকজর রাতে কচুগাড়ী গ্রামে ইসলামী জালসায় অতিথি হিসেবে আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের পক্ষ থেকে গিয়েছিলাম। ইসলামী জালসা থেকে ফেরার পথে কচুগড়ী ঈদগাঁহ এলাকায় পৌছালে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল রানা পটু নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন আমাদের উপর হামলা করে ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তারা ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

ট্রাক প্রতীকের সতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন বলেন, জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের প্রত্যক্ষ মদদে এই হামলা চালানো হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকার সমর্থকরা একের পর এক বিভিন্ন জায়গায় এসব হামলা চালাচ্ছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব জানান, ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। দোষীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রাসেল বলেন, সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

গোলাম রাব্বানী/আরকে