দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, ভোটটা গোপনে দেবেন। আমার কপাল চার অঙ্গুলের, আপনাদের এক আঙ্গুলের। আপনারা এই এক আঙুল দিয়ে সিলটা দেবেন। আমাদের সবার চার আঙুলের কপাল বদলায়ে যাবে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ভোটারদের এসব কথা বলেন। মাহি ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

মাহিয়া মাহি বলেন, আপনাদের মুখে বলার দরকার নাই, কাকে ভোট দেবেন। গোপানে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যেখানে সিলটা মারবেন, আপনার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে না। সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকবে না। আপনাদের সবাইকে বলব সেই দিনে প্রতিবাদ করেন। কথা যেন ঠিক থাকে ভাই। ভয় পাওয়ার এখন সময় নাই। ৭ তারিখে ভাগ্য পরির্বতন হবে ইনশাআল্লাহ। দেখা হবে বিজয়ে।

তিনি বলেন, আমি জয়ী হলে সবার পরামর্শ নিয়ে তানোর-গোদাগাড়ী সাজাব। এই তানোর-গোদাগাড়ীবাসী নির্যাতিত, অপমানিত, লাঞ্ছিত। শিক্ষকরা লাঞ্ছিত, কৃষকরা লাঞ্ছিত। জমিদার সাহেব জমিদার থাকুক না, তিনি অট্টালিকায় থাকুক না। গরিবের পাশে বসে দুইটা ভাত যদি না খেতে পারেন তাহলে এই রকম জনপ্রতিনিধি আমাদের দরকার নেই।

মাহিয়া মাহি বলেন, আপনারা আমাকে দেখেছেন আমি আদিবাসীদের ঘরে বসে তাদের সংস্কৃতিতে গান-গাওয়া, নাচা-নাচি করেছি। জমিদার সাহেব কি কখনো করেছেন? হাত মেলান না, হাত মেলালে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলেন। বুঝেছেন, আমার কাছে এগুলো নাই। আমার কাছে জনগণ সবাই সমান। তানোর-গোদাগাড়ী জনপ্রতিনিধি হয়ে যে আসবে তাকেও সাহসী হতে হবে।

রাজশাহী-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান। তিনি সরে গিয়ে কাঁচি প্রতীকের গোলাম রাব্বানীকে সমর্থন দিয়েছেন। আসনটিতে মাহিয়া মাহি ছাড়াও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

শাহিনুল আশিক/আরএআর