শেখ হাসিনাকে বরণ করতে ফরিদপুরে সাজ সাজ রব, আসছেন নেতাকর্মীরা
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফরিদপুর সফরকে কেন্দ্র করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দেওয়া শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিক থেকে রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। মাঠের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে স্থায়ী মঞ্চে বিকেল ৩টার দিকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজেন্দ্র কলেজে দুইটি গেট দিয়ে লোকজন সমাবেশের মাঠে ঢুকছেন। ভিআইপি গেট দিয়ে ঢুকবেন শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। সবাই যার যার দল নিয়ে মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছেন। মাঠে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা বসার জায়গা করা হয়েছে। মঞ্চের প্রথম দিকে পাঁচ হাজারের মতো চেয়ার দেওয়া হয়েছে। এরপর রয়েছে ফাঁকা মাঠ।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, ফরিদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তার ছোটখাটো মেরামতসহ সাজসজ্জা করা হয়েছে। শহরের প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
ভাঙ্গার তুজারপুর এলাকা থেকে সমাবেশে এসেছেন সামাদ মুন্সী (৫৭)। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের এলাকার কাছে কোথাও সভা করলে আমি সেখানে যাই। সর্বশেষ ভাঙ্গায় যে সভা করেছিলেন সেখানেও গিয়েছিলাম।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে মাঠে ৫০ হাজার দর্শক-শ্রোতাসহ সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় মোট এক লাখ লোকের সমাগমের আশা করছে জেলা আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। এছাড়া ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালি) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান, ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহদাব আকবর ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্যাহর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো.আবদুল্লাহ বিন কালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
জহির হোসেন/আরকে