আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ির সামনে ককটেল নিক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে কতিপয় সন্ত্রাসী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ বাড়ির দরজায় তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এর জেরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করেন।

মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তারা চলে যান। এরপর বিকেল সোয়া ৪টায় মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।

পরে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ওই বাড়িতে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৭টি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা এসে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় হাসান ইমাম রাসেল (৪২), দিদার চৌধুরী (৩০) ও মোবারক হোসেন রিয়াদ (৩০) নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

হাসিব আল আমিন/আরএআর