পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ডলি খাতুনকে (২৫) এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছিলেন ইছামদ্দিন (৩৫)। পুত্রবধূকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ইছামদ্দিনের মা ছাবেদা খাতুন (৬৫)। ছেলের দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের স্থল গ্রামে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ইছামদ্দিনের বাবা সোবাহান মোল্লা (৭০) ও স্ত্রী ডলি খাতুনকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত ইছামুদ্দিন।

নিহত ছাবেদা খাতুনের বড় ছেলে সাজিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ইছামুদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া চলছিল। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ইছামুদ্দিন স্ত্রী ডলি খাতুনের হাতে দা দিয়ে কোপ দেয়। তখন মা ও বাবা পুত্রবধূকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও দা দিয়ে কোপ দেন ইছামদ্দিন। ধারলো দায়ের কোপে মা ছাবেদা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন বাবা সোবাহান মোল্লা ও ইছামদ্দিনের স্ত্রী ডলি খাতুন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ইছামুদ্দিন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রাকিব হাসনাত/আরএআর