নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাসী হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. দুলাল অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী এলাকার প্রায় ৪৭টি ভোটকেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে নৌকার এজেন্টরা নির্বাচন পরিচালনাকারীদের সহায়তায় জাল ভোট দিতে উৎসব শুরু করেন। তাছাড়া ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধর, হুমকি ধামকি প্রদান ও পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলেও তারা তা আমলে নেননি। 

লিখিত বক্তব্যে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। পোস্টার, লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নৌকার প্রার্থীর কম্বল বিতরণ, স্কুলে অনুদানের ঘোষণা, তোরণ নির্মাণসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। নির্বাচনের দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাস আর জাল ভোটের উৎসব। সকাল থেকেই তার বিভিন্ন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ও কোন কোন জায়গায় ঢোকার পর বের করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে বাধা দিলে তার একজন কর্মীকে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে মারাত্মক জখম করে। শুধু তাই নয় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আটকে রেখে অন্যান্য এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। একই সময় বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ট্রাক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সোনাপুর কেন্দ্রে সব এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরবর্তী এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ছাড়া করার ঘটনা ঘটেছে। তিনি স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফল প্রত্যাখ্যান করেন।

মাসুদ আহমদ রনি/জেডএস