মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত তারেক শামসুর রেহমান
শিক্ষক ও কলামিস্ট ড. তারেক শামসুর রেহমান পিরোজপুরে মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পিরোজপুর শহরের পুরাতন ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে পিরোজপুর পৌর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তার ভাই খালিদ শহিদুর রহমান মিঠু।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানের ইচ্ছায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকায় দাফন করা হবে। কিন্তু আমার ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল মা-বাবার পাশে তাকে দাফন করা হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ভাইয়ের মরদেহ ঢাকা থেকে পিরোজপুরে আনি। পিরোজপুর পৌর কবরস্থানে বাব-মার কবরের পাশেই তাকে দাফন করি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শনিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে উত্তরা-১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউকের আবাসিক প্রকল্পের দোলনচাপা বিল্ডিংয়ের ১৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে শামসুর রেহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ড. তারেক শামসুর রেহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সদস্য তারেক শামসুর রেহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ড. তারেক শামসুর রেহমান পিরোজপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান ও শিরিন রহমানের বড় ছেলে ড. তারেক শামসুর রেহমান ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ড. তারেক শামসুর রেহমানের স্ত্রী শ্যামলী রহমান ও একমাত্র মেয়ে অনামিকা রহমান যুক্তরাষ্টের ট্রেক্সাসে বসবাস করছেন।
ড. তারেক শামসুর রেহমানের বাবা মরহুম অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছয় বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে ড. তারেক শামসুর রেহমান সবার বড়। তার ছোট ভাই খালিদ শহিদুর রহমান মিঠু পিরোজপুরে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
শিক্ষা জীবনের শুরুতে ড. তারেক শামসুর রেহমান পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। এরপর দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন।
আবীর হাসান/এসপি