আটক কালিয়াকৈর উপজেলার হেফাজতে ইসলামের আমীর ও ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি এমদাদুল হক ও তার দুই ভাই

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হেফাজতে ইসলামের আমীর ও ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি এমদাদুল হককে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী (৪৮) ও ছোট ভাই মাওলানা আশরাফ হোসাইনকেও (৪০) আটক করা হয়।

রোববার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ডাইনকিনি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

গাজীপুর জেলা পুলিশের (কালিয়াকৈর-শ্রীপুর জোনের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল মামুন বলেন, এমদাদুল হককে কালিয়াকৈর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় এবং তার ভাইদের ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রোববার রাতে আটক করা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, মামুনুল হকের গ্রেফতারের প্রতিবাদে রোববার রাতে চন্দ্রা-কালামপুর রোডে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশও ফায়ার করে। পরে তাদের ধাওয়া করে বিভিন্ন বাড়ি-থেকে কিছু লিফলেটসহ আটক করা হয়। সোমবার সকালে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কালিয়াকৈর থানায় মামলা হয়েছে। কালিয়াকৈর থানার এসআই মো. মোরশেদ মোল্লা বাদি হয়ে ওই মামলা করেছেন। মামলায় ১০ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আমির হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশ ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান বলেন, মুফতি এমদাদুল হক কালিয়াকৈর হেফাজতে ইসলামের উপজেলা কমিটির আমীর ও ওলামা পরিষদের সভাপতি। এ ছাড়া এমদাদুল হক কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল। তার ছোট ভাই আশরাফ হোসাইন একই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক এবং বড় ভাই মোহাম্মদ আলী একজন মুদি দোকানি। রোববার রাত ১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের আটক করেছে। 

শিহাব খান/এসপি