বরগুনার বামনা উপজেলায় সিজারিয়ান অপারেশনে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তিনি ওই উপজেলার নিবন্ধনহীন সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিন মালিকের একজন।

রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে মিজানুরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। 

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তুষার কুমার মণ্ডল রোববার রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে মেঘলা আক্তার নামে এক প্রসূতিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। পরে ওইদিনই রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য মেঘলার শরীরে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন ওই ক্লিনিকের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সবুজ কুমার দাস। এর পর রাত পৌনে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটারেই মেঘলা আক্তার এবং তার নবজাতকের মৃত্যু হয়। 

এরপর মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি বিকেলে মেঘলার বাবা ছগির হোসেন চিকিৎসক সবুজ কুমার দাসকে প্রধান আসামি করে ক্লিনিকের মালিক ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শনিবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে র‍্যাব-২ এর সদস্যরা মামলার তিন নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুরকে গ্রেপ্তার করেন। পরে ওইদিন রাতেই বামনা থানায় মিজানুরকে হস্তান্তর করে র‍্যাব।

এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মণ্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিজানুর রহমানকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনার পরপরই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্সসহ সকলেই পালিয়ে গেছেন। পরে উপজেলা প্রশাসন হাসপাতালটিতে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়।

এসকেডি