মরদেহের খাটিয়া বাড়িতে রাখা আছে, গোরস্থানে চলছে কবর খননের কাজ। যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের(২৫) মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সাড়ে তিন বছর আগে বিয়ে হওয়া নাসরিন বেগম (২২) স্বামীকে হারিয়ে ছোট দুইটি বাচ্চাকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

নিহত বিজিবির সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার শ্যামপুর গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ছেলে।

নিহত বিজিবি সদস্যের স্ত্রী মোছা. নাসরিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে রোববার রাতে সবশেষ কথা বলেছি। সোমবার কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। এরপর সারা দিন যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্বামী আহত হয়েছেন কিন্তু পরে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার ছোট ছোট দুইটা সন্তান আছে। আমার তো আর স্বামী বেঁচে নেই, আমি এখন কীভাবে চলবো। বাচ্চা দুইটাকে কীভাবে মানুষ করবো? আমার স্বামী থাকলে আমাকে সব করে দিত। সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমার ছেলে মেয়েকে মানুষ করার দায়িত্ব যেন তারা নেয়।

চরতারাপুর মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মোহাম্মদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত মোহাম্মদ রইশুদ্দীন ২০১৩ সালে এখান থেকে এইচএসসি পাশ করে। এরপর ২০১৫ সালে বিজিবিতে যোগ দেয়। তার মৃত্যুর খবরে আমরা মর্মাহত। তার দুইটি ছোট ছোট সন্তান আছে। সন্তান দুইটির জন্য সরকারের কাছে আর্থিক আবেদন জানাই। 

মনাকষা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহনাজ পারভীন লিলি বেগম বলেন, নিহত মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মেয়ের বয়স আড়াই বছর আর ছেলের বয়স ৪ মাস। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, তারা যেন পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়।

এএএ