‘কালো সোনা’ খেত

দিনাজপুরের খানসামায় প্রথমবারের মতো ‘কালো সোনা’ খ্যাত উচ্চ ফলনশীল বারি পেঁয়াজ-১ বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন শরিফুল ইসলাম নামে এক কৃষক। কৃষি বিভাগের দাবি, ভালো বীজ উৎপাদন হলে এলাকার কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।

এর আগে উপজেলা কৃষি বিভাগ শরিফুলকে চাষ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ পদ্ধতি ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া বিষয়ে বগুড়া, দিনাজপুর ও খানসামায় একাধিকবার প্রশিক্ষণ দেয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বাস্তবায়নে ও কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের (তৃতীয় পর্যায়) আওতায় ৫ নং ভাবকী ইউনিয়নের এসএমই কৃষক শরিফুল ইসলামকে বারি পেঁয়াজ-১ জাতের কন্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে তিনি বারি পেঁয়াজ-১ জাতের বীজ এক একর জমিতে চাষ করেন। বর্তমানে পেঁয়াজের ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

  খানসামায় প্রথমবারের মতো ‘কালো সোনা’ চাষ করেছেন কৃষক শরিফুল ইসলাম

সরেজমিনে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষি খেতে দেখা যায়, সারি সারি পেঁয়াজের গাছের ওপর হিমেল হাওয়ায় দোল খাচ্ছে বীজগুলো। ফুলগুলো দেখতে সাদা রঙের। কোন জমিতে সাদা ফুল থাকলেও আবার কোথাও ফুলগুলো শুকিয়ে বীজ তোলার উপযোগী হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন একটি লাভজনক প্রযুক্তি। রবি মৌসুমে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষিরা বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারে। কৃষি বিভাগ থেকে উপজেলার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনে চাষিদের নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। এতে চাষিরা ফসল চাষাবাদে স্বনির্ভর হবেন এবং ভালো বীজ থেকে ফসল উৎপাদন করে অধিক লাভবান হবেন। 

মাহাবুর রহমান/এসপি