বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজকদের ‘জোবায়ের পন্থি’ না বলে ‘শূরায়ে নিজাম’ বলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রথম পর্বের ইজতেমার আয়োজকদের মুরুব্বী মুফতি আমানুল হক এই অনুরোধ জানান।

টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা শুরুর দিন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইজতেমার ময়দানে বিদেশী ক্যাম্পের পাশে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি তাবলীগ জামাতের বিভক্তির কারণ বলতে গিয়ে বলেন, তাবলীগ জামাতে বিভক্তির মূল কারণ হলো তারা একজন ব্যক্তিকে (মাওলানা সাদ) মেনে চলেন, আর আমরা একটা জামাতকে মেনে চলি, যারা সবাই মিলে পরামর্শ করেন এবং সেই পরামর্শকে মেনে চলেন।

তিনি বলেন, আমরা মাওলানা জোবায়ের সাবকে ফলো করি না, জোবায়ের সাহেবসহ একটা জামাত আছে, আমরা সেই জামাতকে মেনে চলি, যারা সকলে মিলে কোনো বিষয়ে পরামর্শ করেন। আমরা সেই পরামর্শকে ফলো করি। ব্যক্তি কখনো নিরাপদ নয়, তবে পরামর্শ নিরাপদ।

মুফতি আমানুল হক বলেন, এ কারণে আমাদেরকে ‘জোবায়ের পন্থি’  না বলার অনুরোধ করছি সাংবাদিকদের কাছে। আমাদরেকে ‘শূরায়ে নিজাম’ বলার অনুরোধ করছি। আমরা নিজেদেরকে ‘শূরায়ে নিজাম’ বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি।

মুফতি আমানুল হক তাবলীগ জামাতের প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা একজন ব্যক্তিকে (মাওলানা সাদ)  কেন্দ্র করে চলছে। তিনি দাওয়াতে তাবলীগের কিছু মৌলিক নীতিমালা বর্জন করে মুরুব্বীদের পরামর্শ ছাড়াই যে কোন বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি এককভাবে নিজেকে আমির দাবি করেন। 

তিনি বলেন, দাওয়াতে তবলীগে আমির নিজের দাবিতে হয় না। বরং সকল শূরা সদস্যরা মিলে আমির নির্বাচিত করেন। কিন্তু তিনি শূরার সিদ্ধান্ত না মেনে নিজেই নিজেকে আমির নির্বাচিত করেছেন। 

তিনি বলেন, বিভক্তির তৃতীয় আরেকটি কারণ হলো, তিনি এমন কিছু বিতর্কিত বিষয় উত্থাপিত করেছেন সেগুলোর সঙ্গে আলেমরা একমত পোষণ করতে পারেননি। এটাই তাবলীগ জামাত বিভক্তির মুল কারণ।

এদিকে তাবলীগ জামাতের অপর পক্ষের মুরুব্বী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, মুফতি আমানুল হকের বক্তব্য সঠিক নয়। তিনি নিজেকে নিজে আমির ঘোষণা করেননি। তাদের একটি পরামর্শক কমিটি আছে, তারাই তাকে আমির বানিয়েছেন এবং যেকেোনো বিষয়ে ওই পরামর্শক কমিটি আমিরকে পরার্শ দেন। পরে তার বাস্তবায়ন করেন আমির। প্রতিপক্ষই ইসলাম তথা ধর্ম প্রচার নিয়ে বিতর্ক করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ও বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান উপস্থিত ছিলেন।

শিহাব খান/এনটি