নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় আসামি মো. হারুনের (৪২) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারপর হারুনের উপস্থিতিতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চরজব্বার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম আসামির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

রিমান্ডপ্রাপ্ত মো. হারুন সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত বশির আহম্মদের ছেলে।

চরজব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকালে ঢাকার গাবতলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেখানো মতে মামলার আলামত নাকফুল ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়। তারপর বিকেলে তাকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার উপস্থিতিতে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয় কিন্তু বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে গৃহবধূকে ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘর থেকে নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীর দিনমজুর স্বামী কাজের জন্য ওই রাতে বাইরে থাকায় তিনি তার তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগে ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান আসামিরা।

প্রসঙ্গত, সুবর্ণচর উপজেলাটি গণধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের জরিমানাও করা হয়।

হাসিব আল আমিন/এমএএস