অর্থের অভাবে প্রায় চার বছর ধরে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর লক্ষী গ্রামের মাইন উদ্দীন সেলিম (৪৯)। ছয় মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে জরাজীর্ণ এবং ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঠিকমতো তিন বেলা খাবারও জোটে না। মাথা নিচু করে ঘরে প্রবেশ করতে হয়, ঘরে দাঁড়ানোর জায়গাও নেই। বিবাহযোগ্য চার মেয়ে থাকলেও অভাবে তাদের বিয়ে হচ্ছে না।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মাইন উদ্দীন সেলিমকে নিয়ে ঢাকা পোস্ট ‘ঝুপড়ি ঘরে ৯ সদস্যের বসবাস, বিয়ে হচ্ছে না মেয়েদের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। ওই সংবাদ প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেলিমের জরাজীর্ণ ঘরে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল ও শুকনো খাবার তুলে দেন। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন নবী, ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদনটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। খবরটি মুহূর্তের মধ্যেই সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। আমি আজ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছি। আমাদের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্যার বলেছেন পরিবারটির জন্য সর্বোচ্চ করবেন। স্যার নিজেও আসবেন। পরিবারটির যেন সহায় হয় এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

অসুস্থ মাইন উদ্দীন সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউএনও স্যার এসেছেন আমি খুশি হয়েছি। আমার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। তাই বিছানা থেকেও উঠতে পারি না। স্যার আমাদের জন্য বিভিন্ন রকমের খাদ্যসামগ্রী ও কম্বল এনেছেন। আমার একটা ঘরের ব্যবস্থা হলে আমার জন্য ভালো হত। আমার সন্তানরা যেন স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পায় এটাই আমার শেষ চাওয়া।

মাইন উদ্দীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আজ ইউএনও স্যারসহ অনেকে এসেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের ঘরের ব্যবস্থা হলে আমাদের অনেক উপকার হত।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ