গোপালগঞ্জে পানিতে লবণ আসায় ডায়রিয়ার প্রকোপ
হাসপাতালের সংযোগ শেডের ড্রেনের পাশে ডায়রিয়ার রোগী
গোপালগঞ্জে করোনাভাইরাসের মধ্যে ডায়রিয়া পরিস্থিতি মারাত্মক আকার আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই এ জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে মধুমতি নদীর পানিতে লবণ আসায় মানুষ বেশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানান, ১০ এপ্রিল থেকে গোপালগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হয়। ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত গড়ে ২৫-৩০ জন ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, এরপর প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) ৪৮ জন রোগী ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধের সংকট নেই। রোগীদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানান, বেশি স্যালাইন লাগলে তাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এখনো কোনো রোগী মারা যায়নি। রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। গরম ও মধুমতি নদীর পানিতে লবণ এসে যাওয়ায় এখানে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। বৃষ্টি হলে এটি কমে আসবে।
বিজ্ঞাপন
রোগীর স্বজন মোতালেব হোসেন বলেন, ‘১৪ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪৮ জন রোগী রয়েছে। অনেককেই মেঝে, বারান্দায় রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সংযোগ শেডের ড্রেনের পাশে নোংরা পরিবেশেও রোগী রাখা হয়েছে। সেখানে ভালো মানুষ গেলেও রোগী হয়ে যাবে।’
রোগীর স্বজন আতাহার আলী বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ড থেকে মুখে খাওয়ার স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। সব ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর এক স্বজন বিলকিস বেগম বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা আছে। কিন্তু তেমন ওষুধ নেই। একটু বেশি করে ওষুধ দিলে আমরা উপকৃত হতাম।’
এমএসআর