সাড়া ফেলেছে সুশান্ত সরকারের 'শব্দ মায়া'
এবারের বইমেলায় বেশ সাড়া ফেলেছে খুলনার পুলিশ সুপার (সদ্য এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুশান্ত সরকারের কাব্যগ্রন্থ 'শব্দ মায়া'। প্রকাশনী সংস্থা সপ্তর্ষি থেকে প্রকাশিত এই কাব্যগ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা খুলনার আসফিয়া লাইব্রেরি প্যাভিলিয়নে। এছাড়া মিলছে ঢাকার বইমেলাতেও।
মেলার প্রথম দিনেই বইটি আসার পর ব্যাপক দৃষ্টি কেড়েছে তার বইপ্রেমীদের মাঝে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও সাহিত্যপ্রেমীরা মেলা থেকে সংগ্রহ করছেন তার লেখা কবিতার বইটি।
বিজ্ঞাপন
খুলনার একুশে বই মেলার আসফিয়া লাইব্রেরি স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি কেএম তুহিন বাবু বলেন, 'শব্দ মায়া' বইটির চাহিদা ভালো। পাঠকরা এসে বইটি হাতে নিচ্ছেন, পড়ছেন, অনেকেই কিনছেনও।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত বইটির ভালো বিক্রি হয়েছে। ইতোমধ্যেই মেলার প্রথম খণ্ড স্টক আউট হয়ে গেছে। দ্বিতীয় খণ্ডের বিক্রি চলছে। বইটি পাঠকদের মনে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে মেলায় এসেছিলেন বেল্লাল হোসেন সজল। তিনি বলেন, ‘আমি শব্দ মায়া বইটির কবিতাগুলো পড়েছি। নতুনত্ব ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে পাঠকের কাছে একটা বার্তা পৌঁছানো হয়েছে। যারা ভেবেছেন, কবিতার পাঠক কমে গেছে, তাদের বলব, 'শব্দ মায়া' পড়ুন, ধারণা পাল্টে যাবে। আমি এই লেখকের সাফল্য কামনা করছি।’
নিজের কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও মঙ্গলবার মেলায় গিয়েছিলেন শব্দ মায়ার লেখক পুলিশ কর্মকর্তা সুশান্ত সরকার। এ সময় তিনি মেলা ঘুরে দেখেন এবং পাঠকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বইটির লেখক সুশান্ত সরকার বলেন, আমার প্রথম লেখা বই 'শব্দ মায়া'। বইটি ঢাকা এবং খুলনার একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকা এবং খুলনার বই মেলায় পাঠকদের ভালো সাড়া মিলছে। পাঠকরা বই মেলায় আসছে, কবিকে খুঁজছে, সেই তাড়না থেকে বইমেলায় আসা। আমার কর্মব্যস্ততার ফাঁকে আমি এটি লিখেছি। গভীররাতে রুমে ফিরে, কোথাও যাওয়ার সময় গাড়িতে বসে বইটি লিখেছি। শব্দ বা লেখা প্রত্যেকটার সঙ্গে মায়া জড়িয়ে রয়েছে। এটি সন্তানের মতো। সন্তান মায়ায় যেমন বেড়ে ওঠে, ঠিক সেইভাবে আমার প্রত্যেকটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এখানে ৯৬টি কবিতা রয়েছে। প্রত্যেকটি কবিতা আমার কাছে সন্তানের মতো। এজন্য বইটির নাম 'শব্দ মায়া'।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সরকারের জন্ম ঠাকুরগাঁও শহরে। ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদীর কোল ঘেঁষে তার বাড়ির উঠান। তিনি গোবিন্দনগরের সাঁওতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শেষে ঢাকা কলেজে নিজের উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে লেখাপড়ার মাধ্যমে নিজের শিক্ষা জীবন শেষ করেন।
মোহাম্মদ মিলন/এমএএস