রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার আকতার হোসেনের ছেলে কাওছার আলী (৪৩), ধাপ চেকপোস্ট হাজী কলোনির সোলাইমান আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম সুমন (৩৮), ধাপ শ্যামলী লেনের তৈয়বুর রহমানের ছেলে আহসান হাবীব মিলন (৩৫) এবং ধাপ শিমুলবাগ এলাকার ফজলুল হকের ছেলে হান্নান মিয়া বাবু (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রংপুর মহানগরীর ধাপ এলাকায় স্বপ্ন শপিং মলের সামনে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে মটর মালিক সমিতির নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মটর মালিক সমিতির নিয়োগ করা কাওছার আলীকে বাস টার্মিনাল থেকে মেডিকেল মোড় এলাকায় বদলি এবং আসাদুল ইসলাম সুমন ও আহসান হাবীব মিলনকে বরখাস্ত করা হয়। বদলি ও বরখাস্তে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে মনে করেন গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা। 

তারা চাঁদাবাজি এবং ভাগবাটোয়ারায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে একেবারে সরিয়ে দিতে নজরদারির মধ্যে রাখে সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আসাদুল ইসলাম সুমনের দেওয়া তথ্যে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে লক্ষ্য করে প্রাইভেট কারে গুলিব ছোড়েন কাওছার আলী। গুলিবর্ষণ শেষে হান্নান বিন বাবুর মোটরসাইকেলে করে তাৎক্ষণিকভাবে তারা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রাইভেট কারের ক্ষতি হলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা হয় লিপনের। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন। 

মামলার পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিভিন্ন কর্নার থেকে বিশ্লেষণ করে অভিযান পরিচালনা করে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজন এ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, মূলত মটরমালিক ও শ্রমিকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যেই এই গুলির ঘটনা ঘটেছে। এখনও রিভলবারটি (অস্ত্র) উদ্ধার সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারে আটকদের প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় আরও কারা জড়িত রয়েছে, তাদের সনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। 

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায়, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আরিফুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর