ঘোড়া প্রতীকে গণসংযোগ করার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী ঘড়ি প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের নির্বাচনী প্রচারে হামলার অভিযোগ করেন তিনি। যদিও ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলেও হামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে এহতেশামুল আলম বলেন, গত রোববার দিনব্যাপী প্রচারণা শেষে রাতে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ি কলোনীতে প্রচারণার সময় ঘড়ি ঘড়ি স্লোগানে আমিসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় স্থানীয়রা আমাকে আগলে ধরায় রক্ষা পাই। হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে জাহাঙ্গীর মৃধা, শামীম, সুজন, শ্রাবন, শান্ত এবং অমিতসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন অতর্কিত হামলা করে। এ বিষয়ে স্থানীয় রেদওয়ান আহমেদ নামে এক কর্মী থানায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। নিবার্চন কমিশনেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর উৎসাহে আমি প্রার্থী হয়েছি। ঘটনার পরপরই মোহিত উর রহমান শান্ত ও হাতি প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাকেদুল হক খান মিল্কী টজু আমার খোঁজ নিয়েছেন। ইকরামুল হক টিটু ইচ্ছ করলে আমার খোঁজ নিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। এমন অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে প্রশাসনের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঘটনার ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পর পর আমরা বাঁশবাড়ি কলোনীতে যাই। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে প্রচারণায় যাওয়ার পর দুই পক্ষের সর্মকদের স্লোগান দেওয়া নিয়ে একটু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

এ ব্যাপারে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে সাধারণ মানুষের জোয়ার উঠেছে। অন্যদিকে তাদের জনসমর্থন না থাকায় নিজেরা বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে মানুষের সমবেদনা নেওয়া ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার, গুজব ও পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। কেউ যদি ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করে নিশ্চই সম্মানিত নাগরিকরা বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বারবার বলেছি অপরাধী যেই হোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের জোরদার প্রচারণা
সকালে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আদালত প্রাঙ্গণ, এরপর ৩,৫৬,১২,২৭,২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় টেবিল ঘড়ি প্রতীকে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করেন ইকরামুল হক টিটু। দুপুর থেকে নগরীর ভাটিকাশর ও বলাশপুর এলাকায় প্রচারণাা চালান হাতি প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু। শিকারীকান্দা প্রচারণা চালান লাঙ্গলের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল। 

উবায়দুল হক/এমএএস