পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অটোরিকশা প্রতীকের এনামুল হক অপু ও ঘোড়া প্রতীকের আবদুল মালেক মিয়ার কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি চায়ের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছেন। বুধবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মল্লিকডুবা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

অটোরিকশা প্রতীকের কর্মীরা জানান, তারা কয়েকজন মল্লিকডুবা বাজারে চায়ের দোকানে বসেছিলেন। হঠাৎ ঘোড়া প্রতীকের কর্মীরা মোটরসাইকেলে এসে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। হামলাকারীরা দোকান এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় তাদের ২ জন কর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন। 

অন্যদিকে ঘোড়া প্রতীকের কর্মীরা জানান, প্রচারণা শেষে তিনটি মোটরসাইকেলে তারা বাড়িতে ফিরছিলেন। মল্লিকডুবা বাজারে পৌঁছালেই অটোরিকশা প্রতীকের নেতাকর্মীরা তাদের হামলা করেন। এসময় কোনো মতে তারা নিজেদের আত্মরক্ষা করেন। তাদের একজন দৌড়ে চায়ের দোকানে ঢুকলে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করার সময় অটোরিকশার কর্মীরা দোকান ভাঙচুর করে। অটোরিকশার কর্মীরা অপরাধ আড়াল করতে নিজেরা নিজেদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। হামলায় তাদের তিনজন কর্মী আহত বলে দাবি করছেন তারা। 

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। তারা পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনীত কুমার গায়েন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। একটি চায়ের দোকানে মালামাল এলোমেলো অবস্থায় দেখেছি। কেউ আহত হওয়ার কোনো তথ্য এখনো পাইনি। তবে কয়েকজনকে চর থাপ্পড় মারা হয়েছে এমন তথ্য আছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। 

ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউফলের ইউএনও মো. বশির গাজী বলেন, রাতের ঘটনা তাই প্রত্যক্ষদর্শী কেউ নেই। উভয় প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা এলোমেলো কথা বলে। উভয়পক্ষ প্রতিপক্ষকে দায়ী করছে। থানা পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

আরিফুল ইসলাম সাগর/আরকে