কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমিরুল হোসেন নান্নু (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের ডাকুয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আমিরুল কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি গ্রামের বাজারে মাছের আড়তদারি করতেন। মাছের ঘেরও আছে তার। এছাড়া তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মী ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তহিদ মাস্টারের পক্ষের কর্মী বলে জানা গেছে। 

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন নান্নুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে একটি ভুট্টা খেতের তার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে কুমারখালী থানার পুলিশ। 

জাতীয় নির্বাচনে নিহত নান্নু নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছেন। তবে ভোটে নৌকার প্রার্থী হেরে যান। আর প্রতিপক্ষের লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের পক্ষে কাজ করেছেন। নির্বাচনের পরও পূর্ব শত্রুতার ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিছুদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন নান্নুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে নিহতের পরিবারের লোকজন হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ডিবি উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহতের পরিবার ও তার স্বজনরা বলেন, নান্নু ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে কেশবপুরে তার ইজারা নেওয়া দিঘিতে যাচ্ছিলেন। পথে তার গতিরোধ করে জোরপূর্বক পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এমএসএ