কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে লাইনচ্যুত নয়টি বগি ডাউন লাইনে আছড়ে পড়ে আছে। চট্টগ্রাম এবং আখাউড়া থেকে আসা দুটি রিলিফ ট্রেন বগিগুলো সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডাউন লাইনের অর্ধেক পরিষ্কার করা হয়েছে। বাকি অর্ধেক পরিষ্কার করে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করে সেটা দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। আপ লাইনের স্লিপার খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ডাউন লাইন পরিষ্কার করা হচ্ছে।

রাত ২টা ১০ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের (উপ-পরিদর্শক) এসআই মো. মিলন।

তিনি জানান, দুটি রিলিফ ট্রেন ক্রেন দিয়ে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে শতাধিক উদ্ধার কর্মী কাজ করছে। বগিগুলো খুব বাজেভাবে পড়ে যাওয়ায় সেগুলো উদ্ধার করতে অনেক সময় লাগছে। তাই উদ্ধারকারীরা আপাতত ডাউন লাইনে পড়ে থাকা বগিগুলোর মাথা সরিয়ে লাইন পরিষ্কার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ডাউন লাইন পরিষ্কার হতে আরও ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগতে পারে।

বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে এ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার, সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি। 

প্রসঙ্গত, রোববার (১৬ মার্চ) বেলা ২টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে ইঞ্জিনের সাথের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত থাকলেও কারও আঘাতই গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। 

আরিফ আজগর/এমজে