গাজীপুরের শ্রীপুরে পরনের লুঙ্গি দিয়ে মুখ ঢেকে বিবস্ত্র অবস্থায় একটি দোকানে হানা দিয়েছে চোর। চুরির পুরো সময়টা বিবস্ত্র ছিল চোর। এ ঘটনার সম্পূর্ণ ভিডিও দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

বুধবার (২০ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা বাজার এলাকায় মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীত পাশে দেবাশীষ সাহার মালিকানাধীন দেবাশীষ ভ্যারাইটিজ স্টোরে এ চুরির ঘটনা ঘটে। 

দোকানের মালিক দেবাশীষ সাহা বলেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠে দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখি। এ সময় তিনটি ক্যামেরা থেকে দুইটা ক্যামেরাতে কিছুই দেখতে না পেয়ে কিছু আগে টেনে পেছনের দৃশ্য দেখার চেষ্টা করি। এ সময় পেছনের অংশে এক লোককে পরনের লুঙ্গি দিয়ে মাথা ঢাকা ও বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত দোকানে চলে আসি। দোকান খুলে দোকানের ড্রয়ার অগোছালো অবস্থায় দেখতে পাই। ওই চোর দোকানে থাকা ইন্টারনেটের রাউটার, বিক্রির জন্য রাখা বিভিন্ন ধরনের এয়ার ফোন ও ৫/৭টি মোবাইল চার্জার, গ্রামীণ ফোনের সিম বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্যাব ও দুটি বাটন মোবাইল নিয়ে যায়। এতে ১৫ থেকে ২০হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে চোর।। 

তিনি আরও বলেন, দোকানে অবস্থানের সময় চোর পুরো সময় তার পরনের লুঙ্গি দিয়ে মাথা ঢেকে চুরি করে। এ সময় তার পুরো শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ওই ভিডিওতে খোরশেদ আলম নামে এক সমাজকর্মী লিখেছেন, এমন চোর জীবনে এই প্রথম দেখলাম।

নাঈম খান রাব্বি নামে অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, মনে হয় চোর যখন জানতে পারছে সিসি ক্যামেরা আছে। সতর্কতার জন্য মুখ ঢাকার চেষ্টা করেছে। তার থেকে বড় কথা চোর বেশ চালাক। ভাবছে উলঙ্গ অবস্থায় চুরি করলে ফুটেজটা ভাইরাল করবে না কেউ, বেচারা চোরের চালাকিটা কাজে আসলো না।

মোহাম্মদ হাসান ফারুক নামে একজন লিখেছেন, চোরের যে কোনো ধর্ম নাই, তা আবার প্রমাণ পেল। পরনের লুঙ্গি খুলে পাগড়ি বানিয়েছে।

দোকানের মালিক দেবাশীষ সাহা আরও বলেন, এর আগেও দুই বার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তখন থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজামান জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিহাব খান/আরএআর