বিএনপি সরকারের আমলে টাকা ছাড়া সরকারি চাকরি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, গতকাল ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীর জীবনের গল্পের ভিডিও দেখেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে ছেলেটা তার জীবনের সংগ্রামের গল্প শোনাচ্ছিলেন। রাজমিস্ত্রির কাজ করে পড়াশোনা করে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য এটাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা সৎ যোগ্য মেধাবীদের নিয়োগ দেন আর খালেদা জিয়া সেটা দেন না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে টাকা ছাড়া সরকারি চাকরি হতো না। বিএনপির আমলে সুপারিশ ছাড়া বিসিএস ক্যাডার হতো না। কেবল বড়লোকদের ছেলেমেয়ের চাকরি হতো।  শেখ হাসিনার আমলে যদি সুপারিশ হতো তাহলে কৃষকের ছেলে ম্যাজিস্ট্রেট হতো না, কৃষকের ছেলে ইউএনও হতো না, কৃষকের ছেলে এসপি হতো না, কৃষকের ছেলে ডিসি হতো না।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আজ স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে জাতির সূর্য সন্তানদের গভীরভাবে স্মরণ করছি। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের, সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু, পৌর মেয়র ভিপি নুরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা ভুইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর