লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শ্বশুরবাড়িতে প্রায় ২০০টি বই নিয়ে আসা সেই নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পক্ষ থেকে বই উপহার পেয়েছেন। কমলনগরের ইউএনও সুচিত্র রঞ্জন দাস তাকে কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে বই উপহার দেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন। 

জানা গেছে, মুমুকে ২৫ মার্চ ইউএনও তার কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান। মুমু তার স্বামী অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন নিখিলের সঙ্গে ইউএনওর কার্যালয়ে যান। ইউএনও তাকে বিভিন্ন লেখকের ৮টি বই উপহার দেন। 

কমলনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, মুমু তার শ্বশুরবাড়িতে বই নিয়ে আসার বিষয়টি চমৎকার ও ব্যতিক্রম ছিল। খবর পেয়েই আমি তাকে আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু ঢাকা চলে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি। অবশেষে আমার আমন্ত্রণে তিনি আসেন। তাকে বই উপহার দিতে পেরে ভালো লাগছে। 

মুমুর স্বামী অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন নিখিল বলেন, আমার মামাতো ভাই শেহজাদ যিয়ান মুমুকে বইবধূ নাম দেয়। এখন সবাই তাকে ‘বইবধূ’ নামে ডাকে।

মেহেরুন নেছা মুমু বলেন, বই উপহার পেতে আমার খুব ভালো লাগে। ইউএনও স্যারের বই উপহার পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু দুই শত বই নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যায়। মুমু কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামের ডা. আবদুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির মহিউদ্দিনের মেয়ে ও ঢাকার ইডেন কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। একই গ্রামের রমজান আলী মৌলভী বাড়ির মাকছুদুর রহমানের ছেলে আইনজীবী নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে প্রায় ২০০ বই নিয়ে গেছেন। তার ইচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে একটি পাঠাগার গড়ার। শাশুড়ির প্রতি ভালোবাসা স্বরূপ সেই পাঠাগারের নাম দিতে চান ‘বউ-শাশুড়ি বইঘর’।

হাসান মাহমুদ শাকিল/আরকে