নতুন স্ত্রীর সঙ্গে মেয়র মালেক

তৃতীয় বিয়ে করে আবারও আলোচনায় এসেছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেক মন্ডল। তার এই বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

মেয়র নিজে তার ফেসবুক আইডিতে নতুন স্ত্রীসহ একটি ছবি পোস্ট করে নতুন জীবনের কথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে ফেসবুকে।

ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘পুরাতন সবকিছু বাদ দিয়ে তৃতীয় বিয়ে সম্পন্ন করলাম। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি; যেন আমি ও আমার নতুন জীবনসঙ্গী সুখে থাকতে পারি।’

মেয়র আবদুল মালেক ভবানীগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। গত নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

কনে নুপূর আক্তার বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের লাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মোনাফের মেয়ে। এর আগে তার একবার বিয়ে হয়েছিল। 

বিয়ের আগের দিন মেয়র মালেক তার ৪০ বছর ধরে সংসার করে আসা প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। এরপর ছেলেসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। মেয়রের তৃতীয় বিয়ে ও প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি এলাকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

জানা গেছে, ১৫ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগম ও ছেলে কামরুলের হাতে মারপিটের শিকার হন মেয়র আব্দুল মালেক। আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সুস্থ হওয়ার পর প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগমকে তালাক দেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন। স্ত্রী কোহিনুর বেগম ও তার ছেলে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় নুপুর আক্তারকে বিয়ে করেন মেয়র মালেক। এরপর নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে নতুন জীবন শুরুর কথা জানিয়ে সবার দোয়া চান। 

এর আগে তিনি এক নাবালিকাকে বিয়ে করে সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে পরিবারের চাপে তিনি ওই নাবালিকাকে তালাক দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে নেন।

এসপি