দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হেয়াতপুর গ্রামে শহিদুল ইসলাম (৩৭) নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ঘাতক শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও তার ছোট মেয়ে আরফিন আক্তার (৫)। এছাড়া এ ঘটনায় তাদের বড় ছেলে আল আমিন (১২) রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই নারীর মরদেহ উঠানে পড়ে আছে। এ সময় গুরুতর আহত দুই ছেলে-মেয়েকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন। পরে হাসপাতালে ৫ বছরের মেয়েটির মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় রাতেই ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, সন্তাদের শাসন করা নিয়ে কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি বাঁশ দিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আঘাত করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে আসামিকে দিনাজপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ইমরান আলী/আরকে