খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বৈশাখের খরতাপে কয়েক দিন ধরেই হাঁসফাঁস করছে মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। সেই মুহূর্তে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকের নিদের্শনায় ট্রাফিক পুলিশে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের তৃষ্ণা মেটাতে বিশুদ্ধ খাবার পানি, জুস ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শিববাড়ি মোড় থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহ যতদিন থাকবে ততদিন এই কার্যক্রম চলবে। খুলনা মহানগরীর ৫৯টি ট্রাফিক পয়েন্টের সব ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেএমপি সূত্রে জানা যায়, তীব্র গরমে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের স্বস্তি দিতে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তীব্র গরমে খোলা আকাশের নিচে কেএমপি ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরা যানজট নিরসন ও মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সদস্যরা হিট স্ট্রোকসহ পানিশূন্যতা, মাথাব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগেন। হঠাৎ করে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ছাতা ব্যবহার করতে আইজিপি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এছাড়াও, যে কোনো জায়গা থেকে পানি না খাওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করছেন। এজন্য পুলিশ কমিশনার নিজ উদ্যোগে সুপেয় পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছেন। ট্রাফিক পুলিশে ডিউটিরত সকল পুলিশ সদস্যদের ছাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়মিতভাবে একটি গাড়ি ট্রাফিক পুলিশে নিয়োজিত সকল পুলিশ সদস্যকে সুপেয় পানি নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং রাস্তায় চলাচলরত পিপাসার্ত পথিককে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সার্বিক খোঁজখবর নেওয়ার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছানসহ ট্রাফিক পুলিশে দায়িত্বরত অফিসার ও ফোর্স।  

মোহাম্মদ মিলন/এএএ