চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে আবারো বাড়ল তাপমাত্রা। মধ্যরাতে বৃষ্টির পরও মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এতে গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জেলায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ল। তবে পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।  

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি ও শনিবার (২০ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ওলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মুসল্লিরা চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টি কামনা করেন। এরপর রাতে কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়।  তাতেও কমেনি তাপমাত্রা। প্রচণ্ড রোদ-গরমে জনজীবনে চরম বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভ্যানে করে শহরে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাই। তীব্র গরমে বেচাকেনা নেই। গত দুদিন সামান্য গরম কম ছিল। ওই দুদিন কিছুটা বিক্রি হলেও আজ রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল কম করছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই মঙ্গলবার মধ্যরাতে ২৫ মিনিট ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মূলত ভারতের মেদিনীপুরে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। মেঘটি জেলার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছে এবং ছোটখাটো কালবৈশাখী ঝড়ও হয়েছে। অন্য কোনো জেলায় বৃষ্টি হয়নি। পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আফজালুল হক/আরএআর