শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নিখোঁজের ছয়দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে আকলিমা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ড্যাইনেরপাড় গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আকলিমা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মো. রহমতুল্লাহর স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বামী রহমতুল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে মো. রহমতুল্লাহ ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে আকলিমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই সন্তানের জন্ম হয়। পরে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এরপর রহমতুল্লাহ দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করে আসছিলেন। একপর্যায়ে রহমতুল্লাহ প্রথম স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে আবার সংসার শুরু করেন এবং আকলিমাকে বাবার বাড়িতে রেখে ভরণপোষণ দেওয়া শুরু করেন। তবে মাঝে মধ্যেই আকলিমাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করতেন রহমতুল্লাহ। গত ১৯ এপ্রিল রাতে আকলিমাকে ফোন করে তার বাবার বাড়ি থেকে রহমতুল্লাহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই দিন থেকেই আকলিমা বেগম ও রহমতুল্লাহকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। 

পরে ২১ এপ্রিল আকলিমার ভাই আবুল হাসেম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রহমতুল্লাহর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলা থেকে তাকে আটক করে। বৃহস্পতিবার রহমতুল্লাহর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দেওয়া ওই তথ্যের ভিত্তিতে রহমতুল্লাহর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে আকলিমার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এদিকে খবর পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) দিদারুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

আরএআর