দাবদাহে পুড়ছে খুলনা। দিন দিন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। সম্প্রতি খুলনায় ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু খুলনা জেলা নয়, গোটা বিভাগে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। শুক্রবারও (২৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। টানা দাবদাহে নেই বৃষ্টির দেখা। ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ ও প্রাণীকুল। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে খুলনায় বৃষ্টির কামনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনার খালিশপুর ঈদগাহ ময়দানে বিশেষ এই নামাজের আয়োজন করে ইমাম পরিষদ। নামাজে সর্বস্তরের মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন খালিশপুর বাইতুল আকরাম জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মেজবাহ উদ্দিন।

নামাজে খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেনসহ হাজারও মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, খুলনায় প্রচণ্ড গরম। এই গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীরাও অস্বস্তিতে রয়েছে। তীব্র এই গরম থেকে রক্ষা পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি, কেঁদেছি। আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।

খালিশপুর মুজগুন্নি খানজাহান আলী দিঘীর (রহ.) পাড় জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, মানুষ যখন বিপদে পড়ে, সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়। যখন বৃষ্টি হয় না, ফল-ফসল শুকিয়ে যায়; তখনই আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছিলেন। আমরা এখন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আছি। আমাদের মা-বোন, শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্ট পাচ্ছে। গাছের ফল শুকিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা খালিশপুর ঈদগাহ মাঠের ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের দোয়া কবুল করেন।

খালিশপুর বায়তুলফালাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি ইবাদুর রহমান বলেন, নামাজ পড়লাম। আলহামদুলিল্লাহ, দোয়া করলাম আল্লাহর কাছে। হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নিয়েছেন। আশা করছি আমাদের এখানে বৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ