আবাসন প্রকল্পের রাস্তা প্রশস্তকরণে জায়গা দখলের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলায় আবাসন প্রকল্পের রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য এক ব্যক্তির জায়গা জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও প্রতিকার মিলছে না।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া গ্রামের সহিদ মিয়া ১৯৮৭ সালে স্থানীয় সুরিয়াখোলা মৌজায় ৩৭ শতাংশ নাল ভূমি কেনেন। ২০১৫ সালে সহিদ মিয়ার মৃত্যু হলে ওই জায়গার মালিক হন তার স্ত্রী ও ছয় সন্তান। 

এ জায়গার পাশে স্থানীয় বাসিন্দা রোকন উদ্দিন জমি কিনে প্লট আকারে আবাসন ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু মূল রাস্তা থেকে আবাসন প্রকল্পে যাওয়ার রাস্তাটি সরু হওয়ায় সেটি প্রশস্তকরণের জন্য প্রয়াত সহিদ মিয়ার ছেলে আবু সায়েমের জায়গা দখলের পাঁয়তারা করতে থাকেন রোকন উদ্দিন। সম্প্রতি সায়েমের জায়গার কয়েক ফুট দখল করে আবাসন প্রকল্পের রাস্তা প্রশস্ত করেন রোকন উদ্দিন। এ ঘটনায় সায়েম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিকার মেলেনি। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন সায়েম। পরে বিচারক ঘটনাটি তদন্ত করে সদর থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগী আবু সায়েম বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা রোকন উদ্দিনের পক্ষে কাজ করছেন। আবাসন প্রকল্পের রাস্তার জন্য জোর করে আমার জায়গা দখল করেছেন রোকন উদ্দিন। সেজন্য আমি আইনেরূ দ্বারস্থ হয়েছি, আমি ন্যায়বিচার চাই।

রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সফিউল্লাহ বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষ সার্ভেয়ার এনে জমি মেপে দেখেন। তখন দুই পক্ষই মেনে নেন। কিন্তু এর পরবর্তীতে রোকন উদ্দিন জানান, তার সার্ভেয়ার ভুল করেছে। তাই পুনরায় জায়গা মাপতে হবে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গণমান্য ব্যক্তিরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। 

তবে অভিযুক্ত রোকন উদ্দিন বলেন, আমি কারো জায়গা দখল করে রাস্তা তৈরি করিনি। যদি দখল করে থাকি, তাহলে মেপে দেখুক। উল্টো সায়েম আমার জায়গা দখল করে রেখেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু উভয় পক্ষই যার যার অবস্থানে অটল থাকায় মীমাংসা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি।

আজিজুল সঞ্চয়/এএম