রেজাউল করিম

গাজীপুরের টঙ্গীর হিমারদীঘি কেরানিরটেক বস্তি এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমকে মাদক ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।

গ্রেফতার রেজাউল করিম (৩২) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ছাত্রলীগের টঙ্গী সরকারি কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি টঙ্গীর নোয়াগাঁও হিমারদীঘির এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন আলীর ছেলে।

বুধবার গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জাকির হাসান জানান, সম্প্রতি টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকার হামিদ হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেনকে (২৫) মাদকসহ গ্রেফতার করে পুলিশ হেফজাতে (রিমান্ডে) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাকির পুলিশকে জানায়, তার বাসায় আরও ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। পরে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ জাকির হোসেনের বসতঘরের আলমারি থেকে পাঁচশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এ ইয়াবার সরবরাহকারী হলেন রেজাউল করিম। এসব ইয়াবা ট্যাবলেটের বিক্রির পর লভ্যাংশ তারা আনুপাতিকহারে ভাগ করে নিতেন বলেও জানিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী জাকির। বুধবার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে রেজাউলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রিমান্ডে জাকির হোসেনের দেয়া তথ্যের পর মঙ্গলবার রাতে টঙ্গীর নোয়াগাঁও সৈয়দ মুন্সী রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই রাতে টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৯৪ পুড়িয়া গাঁজাসহ জাকির হোসেনের ছোট ভাই মো. নবীন হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের টঙ্গী সরকারি কলেজ কমিটির সভাপতি কাজী মঞ্জুর জানান, রেজাউল করিম হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ছাত্রলীগের টঙ্গী সরকারি কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তার গ্রেফতার হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু গ্রেফতারের বিস্তারিত জানা নেই। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইলতুৎমিশ জানান, গ্রেফতার রেজাউল করিম সম্প্রতি স্থানীয় জুট ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল ইসলাম মনির কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় ব্যবসায়ীর স্ত্রী শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা করেন। রেজাউল হলো মাদক ব্যবসার একজন পৃষ্ঠপোষক। তিনি কক্সবাজার থেকে মাদকের চালান এনে টঙ্গীসহ আশেপাশের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন।  

শিহাব খান/এসপি