সিজারের সময় প্রস্রাবের দ্বার কেটে নবজাতকের মৃত্যু
গাইবান্ধার সাঘাটায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারের সময় নবজাতকের প্রসাবের দ্বার ও শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে প্রসূতি মায়ের জরায়ুতেও কাটাছেড়া করায় তিনিও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ওই প্রসূতি মায়ের নাম মমিনা বেগম (৩৫)। তিনি সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
প্রসূতির স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মমিনা বেগমের প্রসববেদনা উঠলে দুপুর ১২টার দিকে তাকে নেওয়া হয় বোনারপাড়া ডিজিটাল হাসপাতালে। পরে রোগীর কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সাড়ে ১২টার দিকে তার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক।
অস্ত্রোপচারে মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মমিনা। এরপর বিকেলে কার্টনবন্দি করে নবজাতকের মরদেহ দেওয়া হয় পরিবারকে। সন্ধ্যায় নবজাতককে বাড়িতে নিয়ে কার্টন খুলে তার প্রসাবের দ্বারে কাটা ও শরীরে দাগ দেখে মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।
বিজ্ঞাপন
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা মেলে অভিযুক্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খোরশেদুর রহমান পাপ্পুর সঙ্গে। তিনি জানান, প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় তিনি অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন। আর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন ডা. রাকিবুল হাসান রাকিব। তবে এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।
ক্লিনিকের দায়িত্বরত সেবিকা দিপা আকতার জানান, কোন এক পল্লিচিকিৎসক প্রসূতির শরীরে ১২টি ইনজেকশন পুশ করেন। এ কারণেই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর মঙ্গলবার ক্লিনিক পরিদর্শন করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিপন আকন্দ/এসপি