গঙ্গাচড়ায় চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সুজন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মোকাররম হোসেন সুজন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪১ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০৮ ভোট। তিনি গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোকাররম হোসেন সুজনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ৮৩৩ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিনকে পরাজিত করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন।
বিজ্ঞাপন
ফলাফল নিশ্চিত করে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। সকাল থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীসহ ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাত ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন।
৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গঙ্গাচড়া উপজেলার ১০১টি ভোটকেন্দ্রের ৬১২টি কক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। এ উপজেলায় একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারসহ মোট ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৫ জন। ভোট পড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন আলমবিদিতর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করে বিএনপি। তিনি রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।
এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বই প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৪৩ ভোট পেয়ে আনারুল ইসলাম মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে হাবিবা আক্তার ১৮ হাজার ১০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরকে