সুনামগঞ্জে ডায়রিয়ায় ৫৮ জন হাসপাতালে
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক শিশু
তীব্র শীতে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলায় ঠান্ডাজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সিংগভাগ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। দিন দিন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১ জানুয়ারি সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৯ জন। শনিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ৫৮ জন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নার্স সঙ্কট থাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা নানা সমস্যায় পড়েছেন। কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সদর উপজেলার নারায়ণতলার বাসিন্দা কুলসুমা বেগম তার দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। দুদিন আগে শিশুটির হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা শুরু হয়। স্যালাইন খাওয়ানোর পরও কোনো কাজ না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে এসেছেন কুলসুমা বেগম। কিন্তু ওয়ার্ডে থাকা নার্সের কাছ থেকে ওষুধ পেতে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। রোগীর তুলনায় নার্স কম থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেন কলসুমা বেগম।
বিজ্ঞাপন
একই ওয়ার্ডে শিশু সন্তানকে নিয়ে ভর্তি থাকা আরেক অভিভাবক জানান, গত কয়েক দিনের শীতে তার মেয়ের বমি ও পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। মেয়েকে স্যালাইন দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি।
সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স সন্ধ্যা রায় বলেন, শীতে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও অস্বাভাবিক নয়। শীতে ডায়রিয়া রোগীর পরিমাণ প্রতি বছরই বাড়ে। ডিসেম্বরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে নার্সের সংখ্যা কম, রোগীর সংখ্যা বেশি। এতো রোগীকে সঠিক সেবা দেয়া এই পরিমাণ নার্সের পক্ষে অসম্ভব। এ জন্যই সিরিয়াল ও জরুরি অনুযায়ী সেবা দিচ্ছি আমরা।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর তুলনায় শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। শীতে ডায়রিয়া রোগীর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের দুটি ইউনিটে নার্সসহ অন্য সবাই কাজ করছেন। একটি কোভিড এবং অন্যটি ননকোভিড ইউনিট। হাসপাতালে ২২৩ জন নার্সের পদ থাকলেও আছেন ১১৫ জন। অর্ধেকেরও বেশি পদ শূন্য। এরপরও রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
আরএআর