আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া হলো না বৃদ্ধ ফুল মিয়ার
বৃদ্ধ ফুল মিয়ার মরদেহ
৭ দিন আগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুল মিয়া নামে এক বৃদ্ধ ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকে তার কোনো স্বজনের দেখা পাননি চিকিৎসকরা। স্বজন না থাকায় চিন্তিত ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে সিলেট সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে রোববার (২ মে) তাকে ময়মনসিংহে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ছিল। তার আগেই তিনি পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তামাক সেবন করার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার (২৪ এপ্রিল) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন শ্রীমঙ্গলের এক বাসিন্দা। তারপর হাসপাতাল তার সব ধরনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। আত্মীয়-স্বজনের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে রোববার (২ মে) তাকে ময়মনসিংহে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ছিল। তার আগেই শনিবার তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুপার এলাকার বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন বৃদ্ধ ফুল মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছিলেন ফুল মিয়া মানসিক রোগী। তিনি পথে পথে থাকতেন। তার কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানকার একজন কাউন্সিলর তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরামর্শ দেন।
শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আলাপ করেছিলাম। নেওয়ার সকল প্রস্তুতিও ছিল। তবে তার আগেই তিনি মারা গেছেন। তাকে নিয়ে যাচ্ছি, তবে তার নিথর দেহ।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক সংগঠন মানবিক টিমের সদস্য সফি আহমেদ বলেন, রোববার আমাদের দুই স্বেচ্ছাসেবকের উনাকে ময়মনসিংহ সমাজসেবা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি মারা গেছেন। উনার স্বজন কেউ না থাকায় এলাকাবাসীর কাছে মরদেহটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মিরাজুর রহমান মিরাজ ফুল মিয়ার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, রোববার উনাকে হস্তান্তর করার সময় সরকারি ওষুধসহ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ছিল। তবে সেটি আর হলো না। তিনি হাসপাতালের বেডেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
তুহিন আহমদ/এসপি