ঠাকুরগাঁওয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা সতিষ ঋষি (৩৪) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুন) সকালে শহরের পরিষদপাড়া এলাকার একটি লিচু গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আদিবাসী ওই যুবক দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ এলাকার মৃত বাবুল ঋষির ছেলে।

সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিজুস বলেন, সতিষ ঋষি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। পরে সেতাবগঞ্জে তার বাড়িতে কোনো এক সমস্যার খবর পেয়ে রাতেই তার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন। তার স্ত্রী রাতে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাড়ির পার্শ্বে একটি লিচু গাছে তার স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে তাকে খবর দেন স্থানীয় এক নারী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা। তারপরও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে বর্ণা নামে ১৩ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল উদ্দীন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ভূল্লী দারাজগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্ণা ওই গ্রামের প্রসন্ন চন্দ্র বর্মনের মেয়ে।

ভূল্লী থানা পুলিশের ওসি দুলাল উদ্দীন বলেন, ওই মেয়ের বাবা-মা সন্ধ্যার দিকে ফসলের মাঠে ধান আনতে যান। পরবর্তীতে বর্ণার মা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে তাদের বসতঘরের দরজা-জানালা বন্ধ দেখতে পেয়ে বাড়িতে স্বামীকে ডেকে আনেন। পরে তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে বর্ণাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাদের ধারণা সকলের অগোচরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ণা। খবর পেয়ে ভূল্লী থানার পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ও ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

আরিফ হাসান/এমজেইউ