আন্ধারমানিক নদীর মোহনায় ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদীতে দুই দিনের ব্যবধানে আবারও ভেসে এলো একটি জীবিত ডলফিন। ডলফিনটি স্টেনেলা অ্যাটেনুয়াটা প্রজাতির। এটি ৫ ফুট লম্বা। ডলফিনটির চোখে-মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) বিকেল ৫টার দিকে জোয়ারে আন্ধারমানিক নদীর জালালপুরে ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক সুমন খবর দেন অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্যদের।
বিজ্ঞাপন
অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্য আলমুনজির ঘটনাস্থলে এসে বলেন, জোয়ারের পানিতে ডলফিনটি ভেসে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এটিকে দেখতে পান। পরে আমাদের খবর দিলে আমরা কয়েকজন ঘটনাস্থলে যাই। ডলফিনটি মূলত স্টেনেলা অ্যাটেনুয়াটা প্রজাতির। বর্তমানে ডলফিনটি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ রয়েছে।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ অ্যাকটিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, সমুদ্রের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় সামুদ্রিক প্রাণীগুলো দিন দিন মারা যাচ্ছে। আজ জীবিত ভেসে আসা ডলফিনটির বৈজ্ঞানিক নাম প্যানট্রপিক্যাল স্পটড ডলফিন। এটি বিশ্বের সমস্ত নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরের একটি ডলফিন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বন বিভাগ কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, জীবিত একটি ডলফিন আন্ধারমানিক নদীতে আসার খবর পেয়ে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ডলফিনটিকে চোখে চোখে রাখছি। পুরোপুরি সুস্থ হলে আবার নদীতে অবমুক্ত করা হবে।
এর আগে গত ১৩ জুন কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের একটি ডোবায় একটি জীবিত ডলফিন পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানান, ডলফিনটি জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। ডলফিনটি উদ্ধার করার পর সুস্থ করে ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে পুনরায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর দৈর্ঘ্য ছিল ৬ ফুট ও প্রস্থ দেড় ফুট। গায়ের রং ছিল কালো। এটি বটলনোজ প্রজাতির ডলফিন ছিল।
এসএম আলমাস/এমজেইউ