সিলেটে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় দুর্ভোগে যাত্রীরা
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। স্টেশনে যাত্রীরা আটকা পড়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আটকা পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রাত ১০টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। অনেকে ট্রেন সঠিক সময়ে না আসায় বিকল পথ হিসেবে বাস ও মাইক্রোবাসে যাত্রা করেছেন। আবার কেউ কেউ বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন।
ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী মোহাম্মদ খোকন বলেন, আমি আখাউড়া যাওয়ার জন্য এসেছি। রাত ১০টায় ট্রেনে যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও ট্রেন এখনো আসেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে অপেক্ষা করার জন্য। তাই এখানে বসে আছি।
বিজ্ঞাপন
কুলাউড়া যাওয়ার জন্য একইভাবে অপেক্ষা করছিলেন আনহার মিয়া। তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকায় ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কখন ট্রেন আসবে আর কখন বাড়ি যাব জানি না।
মাহিবুল আহমদ নামের এক যাত্রী বলেন, চট্টগ্রাম যেতে ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। ট্রেন আসতে দেরি হবে। টিকিট কেটে ফেলেছি।এখন আর কী করব অপেক্ষা করি দেখি কখন ট্রেন আসে।
এদিকে ট্রেন বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তারা অভিযোগ করেছেন সিলেট রেলস্টেশন থেকে কুলাউড়াগামী বাস ও মাইক্রোবাসে ৫০-১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। চালকদের দাবি গাড়ি কম থাকায় তারা ৫০-১০০ টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।
সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের বগিগুলো মোগলাবাজার রেলস্টেশন নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিগুলো মাইজগাঁও রেলস্টেশনে নিয়ে রাখার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজ শেষ করতে আনুমানিক আরও ১-২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রেললাইন স্বাভাবিক হয়নি। ট্রেনের উদ্ধারকাজ চলছে।
মাসুদ আহমদ রনি/আরকে