নোয়াখালীতে কারফিউ জারির নবম দিনে রোববার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। এদিন সকাল ৬টার আগ পর্যন্ত এবং রাত ৯টার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে নোয়াখালীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই রোববার সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে।

অন্যান্য দিনের মতো রোববারও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে কাজ করবে।

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার ফলে সারাদেশে কারফিউ থাকলেও নোয়াখালী জেলায় ব্যতিক্রম অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো সহিংসতা না হওয়ায় জনমনে শান্তি বিরাজ করছে। ফলে নোয়াখালীতে কারফিউ দিনভর শিথিল থাকছে।

তবে সতর্কতার জন্য রাতে কারফিউ জারি করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। অর্থাৎ ২৮ জুলাই সকাল ৬টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করেছেন তিনি। তবে দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউয়ের কারণে নোয়াখালীতেও এর প্রভাব পড়েছে।

এদিকে শনিবার নোয়াখালীতে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ শিথিল রাখা হয়। এদিন সকাল থেকেই শহরের জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। জেলার কয়েকটি রুটে আন্তঃজেলা বাস চলাচলের পাশাপাশি নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী বাস ছেড়ে গেছে। পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। শহরের লোকজনের চলাচল ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরেছেন। বাইরে বের হতে পেরে স্বস্তিতে ছিলেন সাধারণ মানুষ।

দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি আন্তঃজেলা ও উপজেলা রুটে বাস ছেড়েছে। বাস স্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের ভিড় ছিল সকাল থেকেই।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীতে জনজীবনে স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছেন।

হাসিব আল আমিন/টিএম