কুমিল্লা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে আশরাফুল ইসলাম নাঈম নামে (১৮) কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হন নাঈম। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন নাঈম।
বিজ্ঞাপন
গুলিবিদ্ধ আশরাফুল ইসলাম নাঈম কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র। তিনি জেলার বরুড়া উপজেলার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুল হাসান মুন্সি গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গুলিবিদ্ধ আশরাফুল ইসলাম নাঈম জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে দৌড় দেন। গুলির শব্দে প্রথমে তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। পরে বাম পা অবশ হয়ে গেলে তিনি সড়কের পাশে পড়ে জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখেন তার সেলফোনটি তার কাছে নেই। পরে তিনি এক পায়ে ভর দিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন নিজে নিজেই।
ডা. কামরুল হাসান মুন্সি জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে নাঈমকে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিটি আশরাফুল ইসলামের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে লেগেছে এবং পায়ের হাড় ভেঙে গুলিটি ভেতরে রয়ে গেছে। এ মুহূর্তে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পরবর্তী ধাপে তার পায়ে অপারেশন করে গুলিটি বের করা হবে।
জেলা পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরটি আমরা শুনেছি। কারা গুলি করেছে সেটি তদন্ত করে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর। এসময় তাদের বাধা দিতে সড়কের বিভিন্ন স্থান ব্লক তৈরি করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভে যাওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়। তবে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ ছিলেন না।
আরিফ আজগর/এসকেডি