করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিবহনকাজে নিয়োজিত যানবাহন পারাপারে অনুমতি রয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষের। কিন্তু ফেরিঘাটে ভিড়লেই অপেক্ষমাণ যাত্রীরা লাফ দিয়ে ফেরিতে ওঠা শুরু করেন। অপেক্ষমাণ যাত্রীর চাপের কারণে সীমিত আকারে ফেরিও চলাচল ব্যাহত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকে ঈদ সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে এ রুটের ফেরিগুলোয়।

শনিবার (৮ মে) দিনভর লাশ, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবামূলক ও পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারে ফেরি চলাচল করবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। তবে ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীর চাপের কারণে এ সীমিত আকারে ফেরিও চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে ফেরিঘাটে ভেড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা ফেরিতে ওঠার প্রতিযোগিতা শুরু করে। আপাতত ৩টি রো রো ফেরি সচল রয়েছে।

ঢাকা থেকে বাংলাবাজার ঘাটে ফিরে এসে খুলনার জব্বার ফকির সাহরি খেয়ে রওনা দিয়েছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় দুই হাজার টাকা ব্যয় করে ঘাটে এ পর্যন্ত এসে পৌঁছেছি। অনেক কষ্টে ফেরিতে উঠে পার হলাম। হাজার হাজার মানুষের চাপ দুটো ঘাটেই। ঢাকায় আমি একটি হোটেলে কাজ করি। সামনে ঈদ ও লকডাউন থাকায় সব বন্ধ। ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ঈদ করব। তাই কষ্ট করে হলেও বাড়ি যাচ্ছি।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ম্যানেজার (মেরিন) আহম্মদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি ও জরুরি সেবামূলক পরিবহন পরীক্ষা করে ফেরিতে ওঠানোর ব্যবস্থা করছি। তবে ঘাটে যাত্রীর চাপ বেশি, যে কারণে ফেরিতে সাধারণ যাত্রীরা উঠে যাচ্ছে।

নাজমুল মোড়ল/এনএ