রংপুরের তারাগঞ্জে শ্রী মতি ভলি রাণী (২৫) নামে এক তরুণীর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বেকারত্বের হতাশা থেকে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের লোকজনের।

শনিবার (১৫ মে) সকাল আটটার দিকে নিজ ঘরে ওড়নায় ফাঁস দেয় ভলি রাণী। এসময় তার ছোট বোন তৃণা রাণী বড় বোনকে ঝুলন্ত দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অনির্বাণ মল্লিক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে পড়ার যন্ত্রণা থেকে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন কিশোরীর দিনমজুর বাবা দিনেশ রায়। 

তিনি সাংবাদিকদের জানান, সংসারে তার স্ত্রী, ছয়টি মেয়ে সন্তান ও বৃদ্ধা মা রয়েছে। দিনমজুরি করে যা আয় হয় তাতে সংসার চলত না। পরিবারে উপার্জনক্ষম কোনো ব্যক্তি নেই। ভলি রাণী নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি কারখানায় চাকরি করত। কিন্তু ওই কারখানাটি বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়ে তার মেয়ে। বেশকিছু দিন ধরে হতাশায় নিমজ্জিত ছিল। অভাবের তাড়নায় তার মেয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

দাদি দিব্বা রাণী বলেন, সৈয়দপুরের কামারপুকুরে কর্মস্থল বন্ধ থাকায় দিশেহারা পড়ছিল ভলি রাণী। একটা ঘরে গাদাগাদি করে আট-নয়জনের বসবাস অনেক কষ্টের। সংসারে অভাব অনটনের কারণে ভলি রাণী ঠিকমতো নিজের জন্ডিসের চিকিৎসা করতে পারেনি। হতাশা আর কষ্ট সইতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনতাসের হাসান মাসুদ জানান, খবর পেয়ে ভলি রাণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্নহত্যার ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় পরে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস