বাসস্ট্যান্ডে টিকিটের জন্য হাহাকার
ঈদ শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শেরপুরের বাস স্ট্যান্ডগুলোতে ছিল উপচে পরা ভিড়। সকাল থেকেই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিচ্ছেন অনেকে। রোববার (১৬ মে) জেলা শহরের নতুন বাস টার্মিনালে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সকাল ৮টায় ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছেন রিফাত হাসান। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ১০টায় হাতে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত টিকিট। রিফাত ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি রেনেটা ফার্মাতে চাকরি করেন। সোমবার (১৭ মে) তার অফিস খোলা। তাই যেভাবে হোক আজকের মধ্যেই তাকে ঢাকা পৌঁছাতে হবে।
রাশেদুল ইসলাম পৌর শহরের বাগরাকসা মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইম এশিয়াতে (বিএসসি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন। পাশাপাশি রাশেদুল টঙ্গীতে ঢাকা সিরামিকস কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাশেদুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। খুব কষ্টে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ৫-৬টি গাড়ি পরিবর্তন করে শেরপুর এসেছি। মা-বাবাকে ছেড়ে যেতে মন না চাইলেও চাকরি বাঁচাতে ঢাকার দিকে ছুটতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আরেক যাত্রী যুবায়ের আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঢাকার টঙ্গীতে থাকি। সেখানে প্রাইভেট কোম্পানি জামান কন্সট্রাকশনে কাজ করি। ঈদের ছুটিতে শ্বশুর বাড়ি ঈদ করতে এসেছিলাম। অফিস থেকে মাত্র ৩ দিন ছুটি পেয়েছি। তাই আবার কর্মস্থলে ছুটতে অনেকক্ষণ থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন টিকিট হাতে পাব জানি না।
রাশেদা বেগম চাকরি করেন গাজীপুরের একটি সুতার মিলে। ঈদের দুই দিন আগে কয়েক দফা গাড়ি পাল্টিয়ে সর্বশেষ ট্রাকে করে শেরপুর এসেছি। অফিস থেকে বার বার ফোন দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। যে ভিড় দেখছি টিকিট পাব কি না আল্লাহ জানে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিব ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তির কথা ভেবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকটা বাস ছেড়েছি। যারা ঈদের আগে অনেক কষ্টে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি এসেছেন তারা যেন বিনা ভোগান্তিতে আবার কর্মস্থলে ফিরতে পারে। সেজন্য সব ধরনের সহযোগিতা জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।করোনা মহামারি ঠেকাতে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জাহিদুল খান সৌরভ/এসপি