সরদার সোয়েব

ঠিকাদারি কাজের টাকা নিয়ে বিরোধে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার সোয়েবের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহযোগীরা।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা রাব্বী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের ছেলে।

রোববার দুপুরে (১৬ মে) উপজেলার নিউ মার্কেটের দোতলায় এ ঘটনা ঘটে। সরদার সোয়েব পাথাইঝাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খাজা রাফিউদ্দিন সরদারের ছেলে। 
 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিউ মার্কেটের দোতলায় নিজ অফিস বসে ছিলেন সোয়েব। এ সময় মির্জা রাব্বীসহ ৫-৬ জন সোয়েবের অফিসে প্রবেশ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্রে দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকেন। 

এতে সোয়েবের হাত-পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাকারিয়া হোসেন বলেন, তার হাত ও পায়ের রগ কেটে গেছে। অবস্থা খুব খারাপ। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

সোয়েবের বাবা খাজা রাফিউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাব্বীর সঙ্গে ঠিকাদারি কাজের টাকা নিয়ে বিরোধ ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল সোয়েবের। এজন্য কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে রাব্বী।

তবে মমতাজ বেগম বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাব্বী এমন কাজ করেনি। 

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। 

শামীনূর রহমান/এএম