লঞ্চ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভোলার লঞ্চশ্রমিকরা

‘গরিব মারার লকডাউন মানি না, মানব না; অবিলম্বে লঞ্চ চালু করতে হবে’ স্লোগানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভোলার লঞ্চশ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে ভোলা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন লঞ্চশ্রমিকরা।

বিক্ষোভ শেষে লঞ্চ চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর কাছে জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহী চৌধুরীর মাধ্যমে স্মারকলিপি দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা না করে ঢিলেঢালা লকডাউনে সবচেয়ে বেশি দুরবস্থার শিকার লঞ্চশ্রমিকরা। লঞ্চ না পেয়ে বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীদের দ্বিগুণ টাকা খরচ হয়। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হয় না। এখন লঞ্চ ছাড়া সবই চলমান। আমরা স্বাস্থ্যবিধি এবং সব ধরনের শর্ত মেনে লঞ্চ চালাতে চাই। লঞ্চ চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক।

তারা বলেন, লঞ্চ বন্ধ থাকায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস এবং সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে অমানবিক ঈদ উদযাপন করেছি আমরা। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিতে লঞ্চ চালু করুন।

এতে উপস্থিত ছিলেন নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন অর্ন্তভুক্ত ভোলা-ঢাকা রুটের এমভি কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের মাস্টার আব্দুর রউফ হাওলাদার, কর্ণফুলী-১০ লঞ্চের মাস্টার মো. শহিদুল শেখ, এমভি ক্রিস্টান ক্রুজের মাস্টার দ্বীন ইসলাম ও মাস্টার আবুল কালামসহ দুই শতাধিক লঞ্চশ্রমিক।

ভোলার ২৩টি ঘাট থেকে ছোট বড় প্রায় ৪৬টি লঞ্চ প্রতিদিন ঢাকা-ভোলা রুটে চলাচল করে। এসব লঞ্চের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক এখন বেকার।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএম