ইউএনওর কান্না দেখে কাঁদছেন সহকর্মীরাও

বিদায়বেলায় অঝোরে কাঁদলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ। মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন থেকে সহকর্মী ও উপজেলার সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ইউএনওর কান্না দেখে কেঁদে ফেলেন তার সহকর্মীরাও। 

বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সোহেল মারুফ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে বিদায় নিলেন।

বিদায়বেলায় সোহেল মারুফ বলেন, ভেড়ামারা উপজেলার প্রতিটি মানুষ ভালো থাকুক। আমার কর্মজীবনের সেরা সঞ্চয় আপনাদের ভালোবাসা। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে বদলিজনিত কারণে কোনো জেলায় বা উপজেলায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনেক রকমের সহায়তা আমি পেয়েছি। কাজ আদায় করার জন্য হয়তো কারও বিরাগভাজন হয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচকভাবে মানুষকে উপস্থাপন করা হয়। খোলা চোখে সব কিছু দেখা যায় না। চোখের আড়ালেও অনেক কিছু থাকে। তবে নিজের অজান্তেও যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, কারও প্রতি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কুষ্টিয়ার মানুষ খুব আন্তরিক। আমি কোনোদিন তাদের ভুলতে পারব না।

এর আগে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে ইউএনও সোহেল মারুফকে বিদায় সংবর্ধনা জানান। 

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ভেড়ামারায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন সোহেল মারুফ। এর আগে তিনি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৩০তম বিসিএস ক্যাডারের এই কর্মকর্তা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মাঠ প্রশাসনে যোগদান করেন। 

রাজু আহমেদ/আরএআর