স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে চাকরি করা হলো না
সিলেটের জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশনে চাকরি করতেন নিহত চীনা নাগরিক ওয়েন্টাও ওয়েই (৪৮)। তার স্ত্রী ওয়াং জিকিউআইউ ঝে-ও একজন প্রকৌশলী। তিনিও সেখানে চাকরি করার জন্য মঙ্গলবার (১৮ মে) ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তবে বিকেলে অবতরণ করার পর জানলেন তার স্বামী খুন হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে চাকরি করার স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যায়।
সিলেটের পাঠানটুলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া চীনা নাগরিক ওয়েন্টাও ওয়েইয়ের (৪৮) স্ত্রী বুধবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৯টায় সিলেটে পৌঁছেন। তিনি মঙ্গলবার চীন থেকে ঢাকা এসে পৌঁছালেও কিছু বাধ্যবাধকতার কারণে বিমানবন্দর থেকে বের হতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
তবে বুধবার দুপুরে তিনি সিলেটে আসার অনুমিত পান। সিলেট এসে তিনি রাত ১১টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানায় স্বামী খুনের মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ।
এর আগে মঙ্গলবার সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার বি ব্লকের একটি বাসা থেকে ওয়েন্টাও ওয়েইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, সিলেটের জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশনে কর্মরত ১২ চীনা নাগরিক কোতোয়ালি থানার পাঠানটুলা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নাশতা করার পর হাত ধোয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে একজন অন্যজনকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওয়েন্টাও ওয়েই। ওই বাসা থেকে শিও চাও (৩৪) নামে আরেকজন চীনা নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর নিহত ওয়েন্টাও ওয়েইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে সেখানকার প্রজেক্ট ম্যানেজার যোগাযোগ করে তার স্বামী নিহতের বিষয়টি জানান। ওই দিন আবার তিনি চাকরি করার জন্য সিলেট আসছিলেন।
স্বামী নিহতের খবর জানার পর তিনি পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে তিনি দেখার পর ওয়েন্টাও ওয়েইয়ের ময়নাতদন্ত করা হয়। বর্তমানে তার মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম আবু ফরহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি আসার পর ৩০২ ধারায় মামলা হয়েছে। তিনিও এখানে চাকরি করার জন্য এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
তুহিন আহমদ/এনএ