নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খাদ্যসহায়তা চেয়ে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-এ ফোন করেন চারতলা ভবনের মালিক ফরিদ আহম্মেদ। সহায়তা দিতে গিয়ে ইউএনও দেখেন তিনি যথেষ্ট ধনী ও সচ্ছল মানুষ! এ ঘটনায় জরিমানা হিসেবে তাকে ১০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দিতে নির্দেশ দেন ইউএনও। 

বৃহস্পতিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, খাদ্যসামগ্রী বিতরণে সরকারের উদ্যোগ সত্যি কি না তা যাচাই করতে বৃহস্পতিবার ৩৩৩-এ ফোন করেন ফরিদ আহম্মেদ। ফোন পেয়ে সদর উপজেলার ইউএনও আরিফা জহুরা হাজির হন তার বাড়িতে। এসে দেখেন ফরিদ আহম্মেদ চারতলা ভবনের মালিক এবং যথেষ্ট সচ্ছল মানুষ। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন ইউএনও।

তিনি জানান, সরকার ৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। কেউ ওই নম্বরে কল করে সংকটের কথা জানালে ইউএনও অফিসে জানানো হয়। পরে তা যাচাই করে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। এভাবে বিনা কারণে তার ফোন করা ঠিক হয়নি।

ইউএনও বলেন, যেহেতু দুষ্টুমির ছলে তিনি এমনটা করেছেন এবং দোষ স্বীকার করেছেন তাই তাকে জেল-জরিমানা করা হয়নি। প্রতীকী জরিমানা হিসেবে ১০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দিতে বলা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে সরকারি সহায়তার মতো ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, লবণ ও পেঁয়াজ থাকবে। শনিবার (২২ মে) সকালে তার উপস্থিতিতে এসব খাদ্যসামগ্রী গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।  

আরএআর/জেএস