ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাগেরহাটে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাগেরহাটে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সভায় জরুরি ভিত্তিতে ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার (২১ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জেলার সব নাগরিককে সচেতন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বক্তারা। সভায় বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধানসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভায় বক্তব্য দেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির, মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ-ই-আলম বাচ্চু, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. দেলোয়ার হোসেন, মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার ও সাংবাদিক বাবুল সরদার।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, উপকূলীয় জেলা হওয়ায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবাণী অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলার ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে।

ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আসার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০-১৫০ কিলোমিটার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে গতিবেগ কম হলেও ২৬ মে ভরা পূর্ণিমার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৮-১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

তানজীম আহমেদ/এএম